১। রোপা আমন মৌসুমে একই সাথে উপকূলীয় লবণাক্ততা ও জোয়ার-ভাটা সহিষ্ণু জাত।
২। চারা ও ফুল ফোটা উভয় অবস্থায় ৬-৯ ডিএস/মি মাত্রা পর্যন্ত লবণাক্ততা সহনশীল ।
৩। ডিগ পাতা খাড়া ও লম্বা, পাতার রং গাঢ় সবুজ।
৪। গাছের চারা বেশ লম্বা ও পূর্ণ বয়স্ক গাছের উচ্চতা প্রায় ১২০ সে.মি.।
৫। কুশিগুলো গাছের গোড়ার দিকে ঘনভাবে সন্নিবেশিত ও গাছ মজবুত।
৬। ধান ও চালের আকৃতি চিকন এবং তবে লম্বায় মাঝারি।
৭। ১০০০ টি পুষ্ট চালের ওজন প্রায় ২৪.২ গ্রাম।
৮। ভাত ঝরঝরে, রং সাদা।
চাষাবাদ পদ্ধতিঃ
১ । বীজ তলায় বীজ বপন
: আষাঢ়ের ১১-২৬ তারিখ (২৫ জুন থেকে ১০ জুলাই)।
২ । চারার বয়স
: ৩০-৩৫ দিন।
৩ । চারার সংখ্যা
: প্রতি গুছিতে ২-৩ টি।
৪ । রোপণ দুরত্ব
: ২৫ সে.মি. X ১৫ সে.মি.।
৫ । জমির ধরণ
: ২৫-৩০ সেমি জোয়ারের গভীরে মাঝারি-উচুঁ থেকে নিচু জমি এ ধানের লমবা চারা রোপণের জন্য উপযুক্ত।
৬ । ইউরিয়া সার (কেজি/বিঘা)
: ২০
৭ । টিএসপি সার (কেজি/বিঘা)
: ১৩
৮ । এমওপি সার (কেজি/বিঘা)
: ৯
৯ । জিপসাম সার (কেজি/বিঘা)
: ৮
১০ । জিংক সালফেট সার (কেজি/বিঘা)
: ১
১১ । সার প্রয়োগ পদ্ধতি
: অগভীর জোয়ারের সময়, সর্বশেষ জমি চাষের সময় সব টিএসপি, এমপি, জিপসাম এবং জিংক সালফেট প্রয়োগ করতে হবে। ইউরিয়া সার সমান ৩ কিস্তিতে রোপণের ১০-১৫ দিন পর ১ম কিস্তি, ৩০ দিন পর ২য় কিস্তি এবং ৫০ দিন পর ৩য় কিস্তি প্রয়োগ করতে হবে। অগভীর জোয়ারের সময়কালের সাথে মিল করে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করতে হবে, জোয়ারের গভীরতা ২০-২৫ সেমি এর বেশী হলে ইউরিয়া সার প্রয়োগ করা যাবে না।
১২ । আগাছা দমন
: চারা রোপণের পর অন্তত ২০-২৫ দিন পর্যন্ত জমি আগাছা মুক্ত রাখতে হবে।
১৩ । রোগ বালাই ও পোকামাকড় ব্যবস্থাপনা
: রোগ-বালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ অন্যান্য জাতের চেয়ে কম হয়। তবে রোগবালাই ও পোকার আক্রমনে সমন্বিত বালাই দমন ব্যবস্থা প্রয়োগ করতে হবে।
১৪ । ফসল পাকা ও কাটা
: ধান কাটার উপযুক্ত সময় হলো ১০-১৫ অগ্রহায়ণ (নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ)।