৬। চালে প্রোটিনের পরিমাণ ৭.৭ ভাগ এবং অ্যামাইলোজের পরিমাণ ২৫.৭ ভাগ।
চাষাবাদ পদ্ধতিঃ
১ । বীজ তলায় বীজ বপন
: অগ্রহায়ণের ১ তারিখ থেকে ১৫ তারিখ (১৫ই নভেম্বর থেকে ৩০ নভেম্বর)।
২ । চারার বয়স
: ৩৫-৪০ দিন।
৩ । চারার সংখ্যা
: প্রতি গুছিতে ২/৩ টি।
৪ । রোপন দুরত্ব
: ২০ x ১৫ সেন্টিমিটার।
৫ । ইউরিয়া সার (কেজি/বিঘা)
: ৩৫
৬ । টিএসপি সার (কেজি/বিঘা)
: ১৩
৭ । এমওপি সার (কেজি/বিঘা)
: ১৬
৮ । জিপসাম সার (কেজি/বিঘা)
: ১৩
৯ । জিংক সালফেট সার (কেজি/বিঘা)
: ১.৫
১০ । সার প্রয়োগ পদ্ধতি
: সর্বশেষ জমি চাষের সময় সবটুকু টিএসপি, এমওপি, জিংক সালফেট ও জিপসাম সার একসাথে প্রয়োগ করা উচিত। ইউরিয়া সার সমান তিন কিস্তিতে যথা- রোপণের ১৫ দিন পর ১ম কিস্তি, ২৫-৩০ দিন পর ২য় কিস্তি এবং ৫০-৫৫ দিন পর ৩য় কিস্তি প্রয়োগ করতে হবে।
১১ । আগাছা দমন
: রোপণের পর অন্তত ২৫-৩০ দিন পর্যন্ত জমি আগাছামুক্ত রাখতে হবে।
১২ । সেচ ব্যবস্থাপনা
: কাইচথোড় অবস্থা থেকে দুধ অবস্থা পর্যন্ত জমিতে পর্যাপ্ত রস বা পানির ব্যবস্থা রাখতে হবে। তবে এডাব্লউডি পদ্ধতি ব্যবহার করা উত্তম।
১৩ । রোগ বালাই দমন
: ব্রি ধান৬৮ জাতে রোগ বালাই ও পোকার আক্রমণ প্রচলিত অন্যান্য জাতের চেয়ে অনেক কম। এ জাতের পাতা পোড়া, খোল পোড়া এবং ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা রয়েছে। তবে রোগ বালাই ও পোকার আক্রমনে সমন্বিত বালাই দমন ব্যবস্থা প্রয়োগ করা উচিত।
১৪ । ফসল পাকা ও কাটা
: ধান কাটার উপযুক্ত সময় হলো ১-১৫ বৈশাখ (১৪ এপ্রিল- ২৮ এপ্রিল)।