এই রহস্যময় পৃথিবীতে বহু রকমের ফল রয়েছে। এসব ফলের মধ্যে অনেক ফল রয়েছে যেগুলো বিচিত্রময়। এ রকম একটি বিচিত্র ফলের নাম হচ্ছে জিলাপি ফল। এই ফল দেখতে অনেকটা জিলাপির মতো বলে একে জিলাপি ফল বলা হয়। কেউ কেউ আবার একে বলেন, খৈ ফল, আবার অঞ্চল ভেদে অনেকেই একে খইয়ের বাবলা বা দখিনী বাবুলও বলে থাকে। এর উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম pithecellobium dulce,, পরিবার liguminosae. গ্রিক পিথেসেলোবিয়ামের অর্থ ‘বানরের ফল’ আর লাতিন ডুলসি মানে মিষ্টি। এই ফল দু’টি খোসার মধ্যে শাঁস ও বীজ গোলাকারভাবে মালার মতো সাজানো থাকে। প্রতিটি ফলে বীজদানা থাকে আট থেকে ১০টি। এই ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ থাকে কিন্তু পাকলে এর খোসা টকটকে লাল হয়ে ফেটে যায়। ভেতরের সাদা শাঁস বেশি পাকলে অনেক সময় তাতে লালচে দাগ পড়ে। এর বীজ দেখতে শিমের বীজের মতো এবং বীজের রঙ অনেকটা কালো। এর শাঁস পুরু, নরম, মিষ্টি ও কষ্টা। জিলাপি ফলগাছের কাণ্ড ও শাখা-প্রশাখা লম্বা, এলোমেলো, বাকল ধূসর এবং তীè কাঁটাযুক্ত। এর পাতা সবুজ এবং পাতা জোড়ায় জোড়ায় সংযুক্ত থাকে। এ গাছের ফুল আকৃতিতে বেশ ছোট। এর ফুল ফাল্গুনে ফোটে এবং চৈত্র ও বৈশাখ মাসে এই ফল পাকে। জিলাপি ফলের বীজ থেকে সহজে চারা হয়। তবে নতুন গাছ সৃষ্টির জন্য এর শাখা কলমও ব্যবহার করা যায়। ফিলিপাইনে এ গাছ প্রধানত ফলের জন্য আবাদ করা হয়। আমাদের দেশে এই ফল এমনিতেই হয়ে থাকে। তবে অনেকেই শখ করে বাড়ির চার দিকে, রাস্তার পাশে এ ফলের গাছ লাগিয়ে থাকেন। যশোর, খুলনা, বরিশাল, পুটয়াখালী ও ভোলায় যথেষ্ট পরিমাণ জিলাপি ফলের গাছ দেখা যায়।
উত্তর সমূহ
এই রহস্যময় পৃথিবীতে বহু রকমের ফল রয়েছে। এসব ফলের মধ্যে অনেক ফল রয়েছে যেগুলো বিচিত্রময়। এ রকম একটি বিচিত্র ফলের নাম হচ্ছে জিলাপি ফল। এই ফল দেখতে অনেকটা জিলাপির মতো বলে একে জিলাপি ফল বলা হয়। কেউ কেউ আবার একে বলেন, খৈ ফল, আবার অঞ্চল ভেদে অনেকেই একে খইয়ের বাবলা বা দখিনী বাবুলও বলে থাকে। এর উদ্ভিদতাত্ত্বিক নাম pithecellobium dulce,, পরিবার liguminosae. গ্রিক পিথেসেলোবিয়ামের অর্থ ‘বানরের ফল’ আর লাতিন ডুলসি মানে মিষ্টি। এই ফল দু’টি খোসার মধ্যে শাঁস ও বীজ গোলাকারভাবে মালার মতো সাজানো থাকে। প্রতিটি ফলে বীজদানা থাকে আট থেকে ১০টি। এই ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ থাকে কিন্তু পাকলে এর খোসা টকটকে লাল হয়ে ফেটে যায়। ভেতরের সাদা শাঁস বেশি পাকলে অনেক সময় তাতে লালচে দাগ পড়ে। এর বীজ দেখতে শিমের বীজের মতো এবং বীজের রঙ অনেকটা কালো। এর শাঁস পুরু, নরম, মিষ্টি ও কষ্টা। জিলাপি ফলগাছের কাণ্ড ও শাখা-প্রশাখা লম্বা, এলোমেলো, বাকল ধূসর এবং তীè কাঁটাযুক্ত। এর পাতা সবুজ এবং পাতা জোড়ায় জোড়ায় সংযুক্ত থাকে। এ গাছের ফুল আকৃতিতে বেশ ছোট। এর ফুল ফাল্গুনে ফোটে এবং চৈত্র ও বৈশাখ মাসে এই ফল পাকে। জিলাপি ফলের বীজ থেকে সহজে চারা হয়। তবে নতুন গাছ সৃষ্টির জন্য এর শাখা কলমও ব্যবহার করা যায়। ফিলিপাইনে এ গাছ প্রধানত ফলের জন্য আবাদ করা হয়। আমাদের দেশে এই ফল এমনিতেই হয়ে থাকে। তবে অনেকেই শখ করে বাড়ির চার দিকে, রাস্তার পাশে এ ফলের গাছ লাগিয়ে থাকেন। যশোর, খুলনা, বরিশাল, পুটয়াখালী ও ভোলায় যথেষ্ট পরিমাণ জিলাপি ফলের গাছ দেখা যায়।